যুবককে রশি দিয়ে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
নড়াইলের লোহাগড়ায় পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ এনে রশি দিয়ে বেধে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিট করে ঘরের গ্রীলের সাথে বেধে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের আবু শেখের ছেলে সবুজ শেখ(৩০)। যুবকের নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নলদী ইউনিয়নের জালালসী গ্রামের সৌদি প্রবাসী কুদ্দুস শেখের স্ত্রীর সাথে প্রতিবেশি বারইপাড়া গ্রামের সবুজ শেখের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত সোমবার রাতে সবুজ কুদ্দুসের বাড়ীতে যায়। এ সময় কুদ্দুসের ভাই মশিউর সরদার, পিকুল সরদারের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সবুজকে ঘরের মধ্যে আটক করে রশি দিয়ে বেধে রড, লাঠি, হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে পিঠমোড়া করে ঘরের গ্রীলের সাথে বেধে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। খবর পেয়ে নলদী পুলিশ ফাড়ির একদল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। অবস্থার অবনতি হওয়া সেখান থেকে সবুজকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সবুজ মুঠোফোনে জানান, ফুফাতো ভাই কুদ্দুসের স্ত্রী বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ীতে থাকে। ভাইদের সাথে বনিবনা না থাকায় সোমবার রাতে আমি তাকে ওষুধ দিতে যায়। এ সময় ষড়যন্ত্রমুলকভাবে অন্য ভাই পিকুল, মশিউর, বদিয়ার, সাহেব আলী, আইয়ুব, বাবু, সাব্বির, উকিল আমাকে ঘরের মধ্যে আটক করে রশি দিয়ে বেধে রড়-হাতুড়ি দিয়ে মরপিঠ করে গ্রীলের সাথে বেধে মেঝেতে ফেলে রাখে । আমার প্রসাব দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে এবং মাঝে মধ্যে বমি হচ্ছে।
নলদী পুলিশ ফড়ির এসআই এনামুল হক জানান, এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। তবে শুনেছি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বরসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা সবুজের অভিভাবকদের নিয়ে মঙ্গলবার এক শালিশ-বৈঠক মাধ্যমে মিমাংশা করে ফেলেছে।
হাফিজুল নিলু: নড়াইল প্রতিনিধি।